বায়োডাটা এবং সিভির মধ্যে পার্থক্য থাকলেও দুটিই চাকরির ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একটি সুন্দর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন গোছালো বায়োডাটা এবং সিভি আপনাকে ইনভাইটেশন পেতে সাহায্য করবে। চাকরিকর্তা চাকরি প্রার্থীদের কাছে থেকে চাকরি ভেদে একেক জন একেক রকমের ডকুমেন্ট চেয়ে থাকে। অনেকেই এই দুইয়ের মধ্যে সবকিছু গুলিয়ে ফেলে। চাকরির জন্য কোন ডকুমেন্টটি জমা দিতে হবে, বায়োডাটা নাকি সিভি।
আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি Biodata ও CV মধ্যে পার্থক্য গুলো কি কি সে সম্পর্কে একটি বিস্তারিত ধারণা পেতে যাচ্ছেন।
বায়োডাটা কি?
বায়োডাটা এমন একটি নথি যেখানে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য সংযুক্ত থাকে। যেমন: আপনার নাম, পিতা-মাতার নাম, আপনার জন্মসাল, জেন্ডার, ধর্ম, উচ্চতা, রক্তের গ্রুপ, শিক্ষাগত যোগ্যতা, ঠিকানা, ফোন নাম্বার, বৈবাহিক সম্পর্ক, জাতীয়তা ইত্যাদি নিজের ব্যক্তিগত তথ্যের সমষ্টিকে বায়োডাটা বলা হয়। এই নথিকে আবার বাংলায় জীবন বৃত্তান্ত বলা হয়। যা একটি পৃষ্ঠার মধ্যে সকল তথ্য সংরক্ষিত রাখতে হয়।
সিভি কি?
সিভি একটি বিস্তারিত তধ্যযুক্ত নথি যা একাধিক পৃষ্ঠারও হতে পারে। সিভি সাধারণত একাডেমিক পদে চাকরির আবেদনের সাথে পাঠানো হয়। এই CV এর মধ্যে বায়োডাটার সকল প্রকার তথ্যের পাশাপাশি গবেষণা প্রকাশনা, সম্মাননা এবং অন্যান্য অর্জনগুলির মতো তথ্যও অন্তর্ভুক্ত থাকে। সামগ্রিকভাবে, বায়োডাটা সিভির চেয়ে সংক্ষিপ্ত হয়।
বায়োডাটা ও সিভির মধ্যে পার্থক্য
দৈর্ঘ্য: বায়োডাটা সাধারণত একটি সংক্ষিপ্ত নথি যা এক পৃষ্ঠার মধ্যেই লেখা হয়। অন্যদিকে, সিভি একটি বিস্তারিত নথি যা একাধিক পৃষ্ঠারও হতে পারে।
উদ্দেশ্য: বায়োডাটা সাধারণত চাকরির আবেদনের সাথে পাঠানো হয়, তবে এটি বিভিন্ন উদ্দেশ্যেও ব্যবহৃত হতে পারে, যেমন শিক্ষাবৃত্তি বা ফেলোশিপের জন্য আবেদন করা। সিভি প্রায়শই একাডেমিক পদে চাকরির আবেদনের সাথে পাঠানো হয়।
অন্তর্ভুক্ত তথ্য: বায়োডাটাতে সাধারণত শিক্ষা, কাজের অভিজ্ঞতা, স্বেচ্ছাসেবক কাজ এবং পুরস্কারগুলির মতো তথ্য অন্তর্ভুক্ত থাকে। সিভিতে বায়োডাটার সমস্ত তথ্যের পাশাপাশি গবেষণা প্রকাশনা, সম্মাননা এবং অন্যান্য অর্জনগুলির মতো তথ্যও অন্তর্ভুক্ত থাকে।
উপসংহার
আপনি যদি কোনও চাকরির জন্য আবেদন করছেন, তাহলে আপনার বায়োডাটাটি অবশ্যই সেই চাকরির জন্য উপযুক্ত হওয়া উচিত। আপনার সিভিটি অবশ্যই সেই একাডেমিক পদে চাকরির জন্য উপযুক্ত হওয়া উচিত যার জন্য আপনি আবেদন করছেন।