সরকারি চাকরির প্রস্তুতি নেওয়ার কমপ্লিট গাইডলাইন

শূন্য থেকে সরকারি চাকরির প্রস্তুতি নিতে প্রয়োজন আপনার দীর্ঘ মনোবল ও টাইম ম্যানেজমেন্টে সতর্ক হওয়া। আপনি যে সরকারি চাকরি এর জন্য প্রস্তুতি নিতে চাচ্ছেন আজকের তারিখ থেকে আপনার চাকরি পরিক্ষার আর কতদিন বাকি আছে সে অনুযায়ী আপনাকে একটা তার্গেট বা রুটিন করে নেতে হবে। সে অনুযায়ী পড়াশুনা শুরু করে দিতে হবে।

আজকে আমরা আপনাকে জানাবো কিভাবে আপনি একটি রুটিন তৈরি করে সে অনুযায়ী আজকের পর থেকে পড়াশুনা শুরু করে দিতে পারেন।

কিভাবে সরকারি চাকরির প্রস্তুতি নিবেন

সরকারি চাকরির প্রস্তুতি জন্য আপনাকে কিছু পদক্ষেপ বা নিয়ম-কানুন অনুসরণ করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী আপনাকে নিয়ন্ত্রণ বা পরিচালনা করতে হবে। কখনো অযুহাত দেখানো যাবে না।

নিজেকে প্রস্তুত করার জন্য যে পদক্ষেপ আপনাকে নিতে হবে সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

প্রথম পদক্ষেপ

সর্বপ্রথম পদক্ষেপ হলো আপনাকে স্মার্টফোন ব্যবহার করা কমিয়ে দিতে হবে অর্থাৎ সোশ্যাল মিডিয়া এক্টিভেটি থেকে বিরত থাকতে হবে। যেমন- ইউটিউব, ফেইসবুক, ইন্সটাগ্রাম ইত্যাদি থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে। যত কম ব্যবহার করা যায় ততো ভালো।

এক্ষেত্রে আপনি আপনার ফোনে একটি ফোন টাস কাউন্টার এপস ব্যবহার করতে পারেন। এর ফলে যে সুবিধাটা হবে তা হলো আপনি ডেইলি কতবার ফোনটা টাস করছেন সেটা কাউন্ট হবে। এভাবে ফোন ব্যবহার করা কমিয়ে নিয়ে আসতে পারবেন।

দ্বিতীয় পদক্ষেপ

টাইম ম্যানেজমেন্ট করে চলতে হবে। কখনো অজুহাত দেখানো চলবে না। টেবিল-চেয়ার বা বিছানায় যেখানে আপনি বসে পড়তে সাস্বন্দবোধ মনে করেন প্রতিদিন সেখানে বসেই পড়তে হবে। স্থান পরির্বতন করা চলবে না।

প্রথমাবস্থায় আপনি দির্ঘক্ষণ সময় ধরে পড়তে পারবেন না। প্রথমত আপনি সময়কে কয়েক ভাগে ভাগ করে নিন। যেমন- সকালে ২ ঘন্টা, দুপুরে ২ ঘন্টা, রাত্রে ২ ঘন্টা এভাবে শুরু করতে পারেন এবং পরবর্তিতে তা প্রতিদিন ১০-২০ মিনিট করে বাড়িয়ে নিন।

পড়তে গেলে সব থেকে বড়ো বাধা হলো ভাল্লাগেনা, কাল পড়বো, কারেন্ট নাই ইত্যাদি ইত্যাদি অজুহাতের শেষ নাই। আপনার যদি পড়তে ভালো নাও লাগে, কারেন্ট যদি নাও থাকে তবুও আপনাকে নাছর বান্দার মত বই নিয়ে আপনার ঠিক করা নির্দিষ্ট সময় পযন্ত টেবিল-চেয়ারেই বসে থাকতে হবে, সেখান থেকে উঠা যাবেনা।

তৃতীয় পদক্ষেপ

Govt Job Exam যেহেতু চারটি বিষয়াদির উপর হয়ে থাকে বাংলা, ইংরেজি, গনিত, সাধারণ জ্ঞান। এখন অবশ্য আইসিটি থেকেও প্রশ্ন করা হয়।

আপনার প্রথম কাজ হলো আপনি যে জব পরিক্ষার জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছেন তার বিগত সালের প্রশ্নগুলো আগে পড়ে নেয়া।

বাংলাঃ ক্লাস নবম-দশম এ যে বাংলা ব্যকারণ টা ছাত্র-ছাত্রীদের দেওয়া হয় সেই বইটি সংগ্রহ করে আগে পড়ে ফেলা। আপনি যদি বইটা ভালোভাবে পড়ে ফেলতে পারেন সেখান থেকে অনেক প্রশ্ন কমন পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও সন্ধি, সমাস, প্রত্যয়, বাক্য এর প্রকারভেদ, কারক-বিভক্তি, পদ, ধ্বনি ও বর্ণ, বানান ও বাক্য শুদ্ধি, পরিভাষা বা পারিভাষিক শব্দ, সমার্থক শব্দ ইত্যাদি।

ইংরেজিঃ বেসিক ইংরেজি গ্রামার সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা অবশ্যই থাকতে হবে। Parts of Speech, Preposition, Synonym, Antonym, Tense, Transformation, Voice, Narration, Right forms of verb ইত্যাদি থেকে প্রশ্ন করা হয়ে থাকে। এমন ভাবে প্রশ্ন তৈরি করা হয় আপনার দেখে মনে হবে সবগুলো উত্তরই বুঝি সঠিক। এর জন্য আপনাকে প্রচুর প্রাক্টিস করতে হবে বাসায়। জব সলুশন বইয়ে থাকা ব্যাখ্যাগুলো ভালো ভাবে আয়ত্ব করে নিতে হবে।

গণিতঃ সবথেকে বেশি গণিতে সময় অপচয় হয় এজন্য সময়ের দিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। গণিতের জন্য প্রথমতো ক্লাস ষষ্ট, সপ্তম, অষ্টম ও নবম দশম শ্রেণীর গণিত বইগুলো আগে ভালোভাবে আয়ত্ত করে নিতে হবে। এবং গণিতের সমাধান করার জন্য ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা ছাড়াই মুখে মুখে সমাধান করার অভ্যাস করতে হবে।

সাধারণ জ্ঞানঃ সাম্প্রতিক বিষয়গুলো পড়তে হবে। এর জন্য কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স পড়া যেতে পারে। আন্তর্জাতিক ও বাংলাদেশ বিষয়বলি মধ্যে যে জিনিসগুলো কখনো পরিবর্তন হয় না সে জিনিসগুলো আগে আয়ত্ত করে নিতে হবে। যেমন- সকল দেশের মুদ্রার নাম, রাজধানী, আয়তন ইত্যাদি।

উপসংহার

আশাকরি উপরোক্ত আলোচনা আপনাদেরকে আরো ভালো ভাবে প্রস্তুতি নিতে সহায়তা করবে ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top