ওয়ার্ডপ্রেস কি এবং ওয়ার্ডপ্রেস কেন এত জনপ্রিয়?

ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে খুব সহজে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী দুর্দান্ত সব ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে পারবেন। w3techs এর জড়িপ অনুযায়ী বলা হয়েছে ওয়াল্ড-ওয়াইডে ৬১ .১ % সিএমএস ব্যবহারকরীদের মধ্য থেকে শুধুমাত্র ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪৩.৩% আর বাদবাকি অন্যান্য CMS ব্যবহারকারী। তাহলে ভেবে দেখুন কতোটা পপুলার একটা সিএমএস বা কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম।

উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুসারে ওয়ার্ডপ্রেস প্রাথমিক রিলিজের তারিখ ২৭ মে ২০০৩ সাল এবং প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে PHP ল্যাঙ্গুয়েজ। সবথেকে মজার ব্যাপার হলো সবার জন্য ওয়ার্ডপ্রেস একটি ফ্রি প্লাটফর্ম। কিভাবে শিখবেন এবং শিখে আয় করা আধোও সম্ভব কিনা সে সম্পর্কে আজ বিস্তারিত জানতে পারবেন।

ওয়ার্ডপ্রেস কি এবং কেন শিখব?

ওয়ার্ডপ্রেস কি কেন শিখব এর কারন হলো এটি এমন একটি প্লাটফর্ম বা CMS (কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম) যা ব্যবহার করে খুব সহজে অনেক দূর্দান্ত ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করা থেকে শুরু করে ব্লগিং সাইট সহ প্রায় সকল ধরনের ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়। এটি অন্নান্য CMS গুলোর তুলনায় শেখা খুবই সহজ। একজন নন-কোডার মানুষও খুব সহজে তা ব্যবহার করেতে পারবে।

যে কেউ ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে পারে তার জন্য প্রাথমিক অবস্থায় কোনো কোডিং জানার প্রয়োজন নেই তবে কেউ যদি ওয়ার্ডপ্রেসে এক্সপার্ট অথবা বস হতে চায় তাহলে হয়তো কোডিং জানা লাগতে পারে। যেহেতু আগে থেকেই অসংখ্য থিম এবং প্লাগিন ফ্রিতে দিয়ে দেওয়া হয়েছে (থিম এবং প্লাগিন কি তা নিয়ে নিচে আলোচনা করা হয়েছে) অতএব আপনি শুধু ওয়েব হোস্টিং কিনে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে পারবেন।

ওয়ার্ডপ্রেস থিম এবং প্লাগিন কি?

ওয়ার্ডপ্রেস থিম:
ওয়ার্ডপ্রেস থিম হলো ওয়েবসাইটের লেআউটের নকশা বা টেমপ্লেট। একটি ওয়েবসাইট দেখতে কেমন হবে সেটা পুরোটাই নির্ভর করে একটি থিমের উপর। থিম ছাড়া একটি ওয়েবসাইটকে বিল্ডইন করা যায় না।

যেমনটা আমরা একটি ফোনের লোক চেঞ্জ করতে প্লে স্টোর থেকে বিভিন্ন থিমস অ্যাপস ডাউনলোড করার মাধ্যমে আমাদের ফোনের ডিজাইনটাকে আমরা পরিবর্তন করতে পারি ঠিক তেমনটাই এই ওয়ার্ডপ্রেস থিমের মাধ্যমে আমরা আমাদের ওয়েবসাইটটা দেখতে কেমন হবে সেই লুক বা ডিজাইন তৈরি করা হয়।

একটি ওয়েবসাইটকে থিম ব্যতীত যেমন তৈরি করা যায় না তেমনি প্লাগিন ছাড়া একটি থিমকে আরো সুন্দর ফিচার যুক্ত করা বা ফাঙ্কশনাল করা যায় না। থিম এবং প্লাগিন একে অপরের সাথে সংযুক্ত।

ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিন:

ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিন হলো এমন একটি সফটওয়্যার কম্পোনেন্ট যা দ্দ্বারা একটি ওয়েবসাইটকে ফাংশনাল বা ফিচার বাড়াতে সাহায্য করে। এর মাধ্যমে একটি সাধারন ওয়েবসাইটকে আরো বেশি অ্যাট্রাক্টিভ লুক এবং ফিচার যোগ করাতে হেল্প করে।

বার্জিক দৃষ্টিকোণ থেকে একটি থিমকে শূন্য ঘরের সাথে তুলনা করা যেতে পারে এবং প্লাগিনকে সেই ঘরে থাকা আসবাবপত্র এর সাথে তুলনা করা যেতে পারে।

যেমনটা অন্যান্য CMS গুলোর মধ্যে প্লাগিন বা টুলসগুলো বেশিরভাগ প্রিমিয়াম যা কিনে ব্যবহার করতে হয় কিন্তু ওয়ার্ডপ্রেস এর ক্ষেত্রে বেশিরভাগই ফ্রি যা ব্যবহার করে আপনি আপনার কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন। এছাড়াও কিছু এডভান্স ফাংশনাল করতে গেলে তখন আপনাকে প্রিমিয়াম ভার্সন কিনে ওয়েবসাইটকে আরো সুন্দর ফিচারস বা লুক দিতে সম্পূর্ণ হবেন।

ওয়ার্ডপ্রেস শিখে কি আয় করা যায়?

অনেকেই তো আয় করছে তাহলে আপনি কেন করতে পারবেন না? অবশ্যই আপনিও ওয়ার্ডপ্রেস শিখে আয় করতে পারবেন। এখন কথা হলো যে আপনি ওয়ার্ডপ্রেস শিখে অন্যদেরকে ওয়েবসাইট ডিজাইন করিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে আয় করতে চান নাকি নিজেই নিজের কাজে ব্যবহার করার মাধ্যমে আয় করতে চান এটাই হলো মূল বিষয়।

আপনি আপনার নিজের প্রয়োজনে অথবা অন্যের জন্য পার্সোনাল, ই-কমার্স, ব্লগিং ওয়েবসাইট থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট আপনি ডিজাইন করতে পারবেন শুধুমাত্র এই ওয়ার্ডপ্রেস সিএমএস ব্যবহার করার মাধ্যমে।

আপনি চাইলে ওয়ার্ডপ্রেস শিখে ওয়েবসাইট তৈরি করে লেখালেখি করে এডসেন্স কমিশনের মাধ্যমে আয় করতে পারেন অথবা আপনি যদি অনলাইন বিজনেস করতে চান সেক্ষেত্র নিজের জন্য একটি পার্সোনাল ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে আপনার প্রোডাক্ট লিস্টিং করে সেল করার মাধ্যমে আয় করতে পারেন।

এছাড়াও আপনি ওয়ার্ডপ্রেস শিখে ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেস গুলো থেকে বিভিন্ন ক্লাইন্টের ওয়েবসাইট তৈরি করে দেওয়ার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন। যা বর্তমানে সময়ে অনেক ফ্রিল্যান্সারের করছে।

উপসংহার

আশা করি উপরের তো আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে ওয়ার্ডপ্রেস সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারণা পেয়েছেন। আরো জানতে prolaxzon ওয়েবসাইটে চোখ রাখুন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top